দেবিদ্বারে চোখ উপড়ে ভ্যানচালককে হত্যা, গ্যারেজ মালিক গ্রেপ্তার

কুমিল্লার দেবিদ্বারে সফিউল্লাহ নামে এক ভ্যানচালককে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ড্রিল মেশিন দিয়ে চোখ উপরে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় পলাতক আসামি গ্যারেজ মালিক মো. রাসেল হোসেন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। শনিবার রাতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নগরেরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব ও পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক রাসেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তার রাসেল হোসেন একই উপজেলার ভানী ইউনিয়নের আন্দিরপাড় গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং নিহত মো. সফিউল্লাহ (৩৮) উপজেলার ভানী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দীনের ছেলে।
রবিবার (১৮ মে) দুপুরে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় কুমিল্লা র্যাব ১১ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
র্যাব জানায়, গত ৬ মে দেবিদ্বারের ভানী ইউনিয়নের ত্রিবিদ্যা গ্রামে ৪৫ হাজার টাকা ধার নেওয়া ও পরে তা চাওয়ায় বিরোধে এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন রাতে নিহত সফিউল্লার স্ত্রী রাসেলকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিরণে জানা গেছে, গত ৫ মে রাসেল পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে সফিউল্লাহকে তার গ্যারেজে ডাকেন। পরদিন দুপুরে সফিউল্লাহ সেখানে গেলে টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি এর পর্যায়ে রাসেল শাবল দিয়ে তার মাথা ও বুকে আঘাত করেন। এতে সফিউল্লাহ অচেতন হয়ে পড়লে রাসেল গ্যারেজে থাকা ড্রিল মেশিন দিয়ে একটি চোখ উপড়ে ফেলে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যান।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে দেবিদ্বার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, র্যাব-১১ সফিউল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাসেলকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করেছে। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
Comments