Image description

লেখক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার জুলাই ঘোষণাপত্র ২০২৫-এর বিষয়ে অভিযোগ করে বলেছেন, এই ঘোষণাপত্র মিথ্যা তথ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। শুক্রবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ফরহাদ মজহারের অভিযোগগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

ফরহাদ মজহারের মতে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার কোনো সরাসরি প্রমাণ নেই। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাদের 'অপারেশন সার্চলাইট'-এর পর শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা দেন। যদিও চট্টগ্রামে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা সংক্রান্ত একটি বার্তা প্রচার করেছিলেন, তবে রাজনৈতিক ও আইনি দিক থেকে এটিকে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা বলা যায় না। তিনি মনে করেন, স্বাধীনতা 'ঘোষিত' হয়েছিল মূলত ১০ এপ্রিলের 'মুজিবনগর সরকার'-এর ঘোষণার মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, 'বাহাত্তরে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে'– এই দাবিটিও সঠিক নয়। তার মতে, স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের দ্বারা কোনো গণপরিষদ নির্বাচন হয়নি। বরং যারা পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাদেরই বাংলাদেশের গণপরিষদ সদস্য ঘোষণা করে তাদের মাধ্যমেই দিল্লি বাহাত্তরের সংবিধান চাপিয়ে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এই সংবিধানই শেখ হাসিনার হাতে আরও 'ফ্যাসিস্ট' রূপ ধারণ করেছে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরেও তা বহাল রাখা হয়েছে। ড. ইউনূস এই সংবিধান রক্ষার জন্যই শপথ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, বারবার বাংলাদেশের জনগণকে নিজেদের রাষ্ট্র গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং জুলাই ঘোষণাপত্র ২০২৫ দ্বারা আবারও সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।