বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এসময় আবু সাঈদকে গুলি করার দুটি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হলে তার বাবা মকবুল হোসেন অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল বৃস্পতিবার এই মামলায় প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জন আজ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সাবেক কর্মচারী মো. আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।

২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। গত ১৬ জুলাই দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশের গুলি করার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই হত্যাকাণ্ড আন্দোলনকে আরও বেগবান করে, যার ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।