Image description

জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী রন ডারমারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভকারীরা আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করে সেখানে আটকে থাকা জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ হয়েছে। ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের সামনেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

জেরুজালেম পোস্টের খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলিরা মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন বন্ধ করে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করলেই কেবল জিম্মিদের মুক্তি সম্ভব। এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে তেল আবিব এবং জেরুজালেমসহ পুরো ইসরায়েলে নিয়মিত বিক্ষোভ চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর বাড়ির কাছে ময়লার ভাগাড় ও গাড়ির টায়ারে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে, এতে পার্ক করে রাখা গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন আশেপাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়লে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ইসরায়েলি পুলিশ আবাসিক এলাকায় আগুন লাগানোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, "বিক্ষোভের অধিকার থাকা মানে এই নয় যে অন্যের সম্পদে আগুন ধরিয়ে দেওয়া যাবে।" তাদের মতে, এটি সীমা অতিক্রম করেছে এবং এর সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত বিক্ষোভের কোনো যোগসূত্র নেই।

বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ জেরুজালেমে গাড়ি পোড়ানোর নিন্দা করলেও, "যে সরকার গাজায় জিম্মি হয়ে থাকা নাগরিকদের পরিত্যাগ করেছে, তাদের প্রতি আরও বেশি নিন্দা" জানান। অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভি এই ঘটনাকে 'জঙ্গি কর্মকাণ্ড' বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রতিবাদী সংগঠন 'ব্রাদার্স ইন আর্মস'-এর হাজার হাজার কর্মী মন্ত্রী ডারমারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা দাবি করেন, ডারমার জিম্মি মুক্তির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একজন জিম্মিও মুক্তি পাননি। তাই তারা "৪৮ জিম্মি, ডারমার ০" লেখা ব্যানার প্রদর্শন করে প্রতিবাদ জানান। সংগঠনটি মনে করে, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হলে আলোচনা চালিয়ে একটি 'স্বয়ংসম্পূর্ণ চুক্তি' করা প্রয়োজন, প্রয়োজনে যুদ্ধ বন্ধ করে হলেও।