Image description

ফিলিস্তিনি প্রশাসন অভিযোগ করেছে যে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের নিচে গোপনে খনন চালাচ্ছে এবং এর ফলে ইসলামি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ধ্বংস হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের দাবি, ইসরায়েল আল-আকসার ঐতিহাসিক পরিচয় মুছে দিয়ে জেরুজালেমকে ইহুদিকরণের ষড়যন্ত্র করছে। সোমবার বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

জেরুজালেম গভর্নরেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া ভিডিওতে ইসরায়েলি বাহিনীকে আল-আকসার নিচে অবৈধ খনন কাজ চালাতে দেখা গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে উমাইয়া যুগের ইসলামি প্রত্ননিদর্শনগুলো ধ্বংস করছে, যা এই স্থানের ওপর মুসলিমদের মালিকানার প্রমাণ। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েল এসব ধ্বংস করে নিজেদের 'টেম্পল মাউন্ট' বর্ণনাকে জোরদার করতে চাইছে।

গভর্নরেট আরও সতর্ক করে বলেছে যে, আন্তর্জাতিক তদারকি এড়িয়ে গোপনে এই খননকাজ করা হচ্ছে, যা মসজিদটির ভিত্তি এবং ঐতিহাসিক কাঠামোর জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। তারা আন্তর্জাতিক মহল, জাতিসংঘ এবং ইউনেস্কোকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার এবং ইসরায়েলকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, আল-আকসা মসজিদের তত্ত্বাবধানের একমাত্র অধিকার জর্ডান-পরিচালিত জেরুজালেম এনডাওমেন্ট কাউন্সিলের। ২০১৩ সালে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক চুক্তির মাধ্যমে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের সব পবিত্র স্থানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জর্ডানকে অর্পণ করেন।

আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের কাছে বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এটিকে 'টেম্পল মাউন্ট' হিসেবে অভিহিত করে, কারণ তাদের বিশ্বাস এখানে তাদের দুটি প্রাচীন মন্দির ছিল। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় এবং ১৯৮০ সালে এটিকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি।