Image description

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া শুল্কনীতির কারণে সম্প্রতি টানাপোড়েনে পড়েছে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতিতে বেইজিংয়ের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে হাঁটছে ভারত। গত সপ্তাহেই দিল্লি সফর করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তাঁর এই সফরে বাণিজ্য বাড়ানো, সীমান্ত বিতর্কে সংলাপ এগিয়ে নেওয়া এবং পাঁচ বছর পর সরাসরি আকাশপথ চালুর বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। একই সঙ্গে লিপুলেখ, নাথুলা ও শিপকিলার তিনটি প্রাচীন বাণিজ্যপথ পুনরায় খুলে দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।

চলতি মাসের শেষে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের চাপই দিল্লি ও বেইজিংকে একে অপরের কাছে টেনে এনেছে।

রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে সম্প্রতি ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে স্থবির হয়ে পড়েছে নতুন বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটন আলোচনাও। ফলে কৌশলগতভাবেই দিল্লির জন্য এখন বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন। চীনেরও অবস্থান আলাদা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা শুল্কযুদ্ধ ও ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে এশিয়ার দুই পরাশক্তি কিছুটা হলেও পারস্পরিক সহযোগিতায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে।