
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধের কারণে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়কে আটকে পড়া হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছে।
সকাল ৬টা থেকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও সুয়াদী পাম্প সংলগ্ন এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছে।
অবরোধে আটকে পড়া ট্রাকচালক মালেক শেখ বলেন, পদ্মা সেতু পার হওয়ার পরই তার ট্রাক আটকে দেওয়া হয়েছে। খুলনা মোংলা বন্দরে যাওয়ার পথে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বরিশাল থেকে আসা যাত্রী কামাল মোল্লা, হাসান শরীফ ও হেমায়েত মাহমুদ জানান, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পায়ে হেঁটে ও ভ্যানে করে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। তবে তারা আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
বিক্ষুব্ধ জনতা জানায়, গত ৩ দিনের মধ্যে তাদের দাবি পূরণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন সময় নিলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই তারা মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন—'রক্ত লাগে রক্ত নে, ভাঙ্গাবাসীর মুক্তি দে' এবং 'আমার মাটি আমার মা, নগরকান্দায় দেবো না'।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে আইনি প্রক্রিয়া চলছে, তাই আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করার অনুরোধ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা) সার্কেল আসিফ ইকবাল বলেন, পুলিশ আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করছে এবং কোনো ধরনের ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলা রোধে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারও একই দাবিতে ৯ ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। গতকাল, মঙ্গলবার থেকে আবার এই অবরোধ শুরু হয়েছে।
Comments