Image description

ঢাকার ধামরাইয়ে পৌরসভার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কসমস এলাকায় ধামরাই থানা পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্ট মোঃ ফরিদ আলী (২৩) নামে একজন ভূয়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আটককৃত মো: ফরিদ আলী ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ড থানার গাড়াবাড়ি এলাকার মো: ইউসুফ আলীর ছেলে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধামরাই থানা পুলিশ ঢাকা আরিচা মহাসড়কের কচমচ এলাকার পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্ট এ গাড়ি তল্লাশি করার সময় সন্দেহভাজন একটি প্রাইভেট কার থামানোর জন্য সংকেত দিলে গাড়িটি চেকপোস্টের সামনে থামিয়ে গাড়ির ভিতর থাকা ফরিদ আলী নিজেকে একজন এনএসআই সদস্য বলে জানান। গাড়িটি ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জগামী ছিল। কিন্তু ভিতরে তার সাথে আরো কয়েকজন তার আত্মীয় স্বজন ছিল। তল্লাশির একপর্যায়ে পুলিশের সাথে অশালীন আচরণ করায় পুলিশের সন্দেহ বেড়ে যায় এবং ফরিদ আলীকে আটক করেন। পরে ফরিদ আলী নিজেই একজন ভূয়া এনএসআই সদস্য বলে স্বীকার করেন। সে ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র বলে জানান এবং এক আত্মীয় তাকে এই কার্ডটি বানিয়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়। 

অপরদিকে ধামরাইয়ে কর্মরত এনএসআই প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানান ধামরাই থানা পুলিশ এবং যাচাই করার জন্য বলেন। ধামরাইয়ে কর্মরত এনএসআই সদস্যরা বিষয়টি তাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানালে তদন্ত করে জানতে পারেন ঔই লোকটি এনএসআই এর কোন সদস্য নন এবং সঙ্গে থাকা কার্ডটি ভূয়া প্রমানিত হয়। ফরিদ আলী নামে কোন এনএসআই নাই। 

আটককৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তির আইডি কার্ড ও আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত করে আটক ব্যক্তির নিকট পাওয়া আইডি কার্ডটি এনএসআইয়ের কোন সদস্য নন। আইডি কার্ড রাখা ব্যক্তির সাথে এনএসআইয়ের কোন সম্পর্ক নাই।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক মোঃ ফরিদ আলী জেলা এনএসআই মেহেরপুর কার্যালয়ে কর্মরত ওয়্যারলেস অপারেটর বলে দাবি করে। যা যাচাই-বাছাইয়ে মিথ্যা প্রমানিত হয়। ঔই নামে কোন তাদের কোন সদস্য নাই।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কসমস এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন যানবাহনে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সাথে ছিলেন ঔই ব্যক্তির ভগ্নিপতি যিনি মিরপুর ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত গাড়ী চালক মোঃ আমিরুল ইসলাম (৩৫)।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, ধামরাই পৌরসভার কচমচ এলাকায় অপরাধী ধরার জন্য পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গতকাল রাত ১ টার দিকে সন্দেহভাজন একটি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। ঔই গাড়িতে থাকা ফরিদ আলী নিজেকে একজন এনএসআই সদস্য বলে স্বীকার করেন। কিন্তু তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জেরা করতে থাকে দ্বায়িত্বরত পুলিশের এক এস আই আজিজুল ইসলাম। পরে তিনি স্বীকার করেন তিনি কোন এন এস আই সদস্য নন। তার এক আত্মীয় এই কার্ডটি বানিয়ে দিয়েছেন। তিনি কলেজের অনার্স ১ ম বর্ষের ছাত্র। পরে ঔই রাতেই তাকে করে থানায় নিয়ে আসা হয়। আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে কোন রিমান্ড না চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সাথে থাকা ভগ্নিপতি ও গাড়ির চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।