Image description

খুলনার দাকোপ ও আশপাশের এলাকায় চিত্রা হরিণের মাংস কম দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ফাঁদ ও বিভিন্ন কৌশলে শিকার করা এই মাংস অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে, যা ক্রেতাদের প্রতারণার ঝুঁকিতেও ফেলছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দাকোপ উপজেলার সুতারখালী, কালাবগী, নলিয়ান, কৈলাশগঞ্জ, বানিশান্তা ও ঢাংমারী গ্রামে একাধিক হরিণ শিকারী চক্র সক্রিয়। এরা বনবিভাগের নজর এড়িয়ে ফাঁদ, জাল ও অন্যান্য কৌশলে হরিণ শিকার করে। শিকারকৃত হরিণ জীবন্ত বা জবাই করে লোকালয়ে এনে ৬০০-৭০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

কালাবগী এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করে জানান, অমাবস্যা ও পূর্ণিমার রাতে শিকারিরা বনে ঢুকে হরিণ শিকার করে। বিরোধিতা করলে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের হুমকির মুখে পড়তে হয়। হরিণের পাশাপাশি সজারুসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীও এদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।

সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী শুভ্র শচীন বলেন, “বাঘ শিকার কিছুটা কমলেও হরিণ শিকার অব্যাহত। এই হরিণ বাঘের প্রধান খাদ্য। অভিযানে মাংস ও চামড়া উদ্ধার হলেও চক্রের মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। দুর্বল আইনের ফাঁক গলে তারা মুক্তি পেয়ে আবার অপকর্মে জড়ায়।”

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ জানান, মাছের প্রজনন মৌসুমে বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও কিছু শিকারি ঢুকে পড়ছে। তবে অভিযান ও টহল জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “অল্প জনবল নিয়ে এত বড় বন রক্ষা চ্যালেঞ্জিং, তবুও শিকার কমাতে আমরা কাজ করছি।”

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর আইন ও স্থানীয় সচেতনতা বাড়ানোর দাবি উঠেছে।