
সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল ও মহালদিক এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পৃথক দুটি অভিযানে এসব পাথর উদ্ধার করা হয়।
সাদাপাথরসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে গত বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত থেকে যৌথ বাহিনী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় চতুর্থ দিনে সদর উপজেলায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশীদ। তাদের সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে ধোপাগুল এলাকা থেকে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট এবং মহালদিক এলাকা থেকে আরও ১ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়।
অভিযানসংশ্লিষ্টরা জানান, ক্রাশার মেশিনের সামনে স্তূপাকারে এবং বিভিন্ন রাস্তা ও বাড়ির পাশে মাটি, বালু ও ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় এসব পাথর পাওয়া গেছে। ইউএনও খোশনূর রুবাইয়াৎ দুপুর ৩টার দিকে বলেন, “অভিযান এখনো চলমান। দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কিছু স্থানে পাথর লুকানো আছে বলে খবর পাওয়া গেছে, সেগুলোও উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, সিলেটের কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে ৮টি পাথর কোয়ারি রয়েছে। এছাড়া সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি ও উৎমাছড়ার মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও পাথরের উৎস রয়েছে। এসব পাথর ভারতের পাহাড়ি নদী থেকে আসে। পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির কারণে ২০২০ সালের পর থেকে কোয়ারি ইজারা বন্ধ রয়েছে। তবে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এক বছর ধরে অবৈধভাবে পাথর লুটপাট চলেছে, যা ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন তেমন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
Comments