সাতকানিয়ায় যুব দিবসের মঞ্চে বার্ধক্যের ছাপ, প্রাণহীন কর্মসূচি

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস সাতকানিয়ায় পালিত হলেও উপজেলা প্রশাসনের সীমিত প্রস্তুতি, গুরুত্বহীনতা ও প্রচারের অভাবে এবারের আয়োজন ছিল অংশগ্রহণহীন। জাতীয় দিবস পালনে উপজেলা প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব, উদাসীনতা, পূর্বপ্রচার ও আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের ঘাটতির কারণে উপস্থিতি ছিল হতাশাজনক, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ব্যাপকভাবে কম। নেই যুবসমাজের অংশগ্রহণ কিংবা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি। যেন জাতীয় যুব দিবসের ব্যানারে নামেমাত্র নাটকীয় আয়োজন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। কিন্তু উপস্থিতি ছিল মাত্র কয়েক ডজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যুব অধিদপ্তরের আওতাধীন অল্পসংখ্যক উপস্থিতি ছাড়া ছিল না যুব সমাজের অংশগ্রহণ। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যুব সংগঠন কিংবা স্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। এমনকি মাত্র কয়েকজন কর্মকর্তা ছাড়া ছিলেন না উপজেলা প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তারাও।
পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এবারের আয়োজন কিংবা উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্যান্য বছর দিবসটি উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হলেও এবার কোনমতে চুপিসারে সেরে নিয়ে দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছেন কর্তৃপক্ষ।কয়েক মিনিটের র্যালী ও নামমাত্র আলোচনা সভায় শেষ হয় যুব দিবসের কর্মসূচি।
স্থানীয় কয়েকজন যুবসমাজ বলেন, যুব দিবস আমাদের অনুপ্রেরণার দিন। গুরুত্বপূর্ণ দিবসটি যুবসমাজকে উৎসাহিত অনুপ্রাণিত করতে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা জরুরি ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, জাতীয় দিবসটি পালনের ক্ষেত্রে চরম অবহেলা করা হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদেরও জানানো হয়নি।
এই বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাং সামছুদ্দীন বলেন, সংকীর্ণ নয়, মোটামুটি যেটুকু পারা যায় চেষ্টা করেছি। আর আমাদের তেমন বরাদ্দও ছিল না। ১২ হাজার বরাদ্দের মধ্যে ভ্যাট আনুষাঙ্গিক বাদ দিয়ে ৮ হাজারের মত ছিল তন্মধ্যে নাস্তার মধ্যে ৬ হাজারে মত খরচ হয়ে গেছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের অনুপস্থিতির বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার সাথে আসলে তেমন কারো যোগাযোগ নাম্বার ছিল না।একজনের সাথে ছিল ওনাকে বলা হয়েছে যদিও ওনি আসেননি। তাছাড়া সব প্রোগ্রামে দু-একজনকে দেখা যায় তারা প্রোগ্রামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকেন। আমি ভাবছি এভাবে আসবেন।কিন্তু কেউ আসেনি।
এদিকে দায় এড়িয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, এটা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দিবস।যাদের আমন্ত্রণ বা দাওয়াত দেওয়া হয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমার কাছে পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা চাওয়া হয়নি। আমার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সম্ভাব্য সকলকে যেন দাওয়াত দেওয়া হয়।
Comments