সিলেটে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর লুটের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর কে এম নুরুন্নবী এই রিটটি দায়ের করেন। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
রিটে ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এতে স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবেশ সচিব, আইজিপি, সিলেটের ডিসি, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওসহ মোট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
সিলেটের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জের 'সাদা সোনা' খ্যাত সাদা পাথর অবাধে লুট হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একসময় রাতের আঁধারে পাথর চুরি হলেও এখন দিনের বেলায় কোটি কোটি টাকার পাথর লুট হচ্ছে। তাদের মতে, প্রশাসনের ব্যর্থতা ও মদদের কারণেই এই লুটপাট চলছে। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে এই লুটপাট শুরু হয়, যা কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারও সুযোগ বুঝে চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও তা নিয়মিত নয় এবং পাথর কেনাবেচার মূল স্থানগুলোতে অভিযান না হওয়ায় লুটপাট বন্ধ হচ্ছে না। এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন তৎপর হয় এবং বুধবার দুদকের একটি দলও সেখানে অভিযান চালায়। স্থানীয়রা এই লুটপাটের জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করছেন।
Comments