Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন এলাকায় দোকান নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। মারধরের ঘটনাটি ঘটে সকাল ১১টার দিকে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ ও মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম। আহতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে জুবায়ের আহমেদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জুবায়ের ও আতিকুল রেলস্টেশন–সংলগ্ন এলাকায় একটি দোকান নির্মাণের কাজ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা এসে তাঁদের কাজে বাধা দেন। বাসিন্দারা দাবি করেন, রেলওয়ের ওই জায়গা তাঁরা ইজারা নিয়েছেন এবং দোকান নির্মাণের জন্য তাঁদের টাকা দিতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা অন্য একজনের কাছ থেকে জায়গাটি ভাড়া নিয়েছেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম জানান, দোকান নির্মাণের সময় এক ব্যক্তি এসে জায়গাটি নিজেদের বলে দাবি করে তাঁদের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসক সাঈদা আখতার জানান, একজন আহত শিক্ষার্থীর নাক দিয়ে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঘটনায় জড়িত স্থানীয় বাসিন্দা সাহাজউদ্দিন বাবু গণমাধ্যমকে জানান, রেলওয়ের জায়গাটি তাঁরা ইজারা নিয়েছেন এবং এ নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলছে। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন। অপর স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ জানান, জায়গাটি রেলওয়ের এবং এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয়দের নিয়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করব। আহত শিক্ষার্থীরা মামলা করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের সহায়তা করবে।’ ফটক খোলার জন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও তিনি জানান।