দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ এনে গণঅধিকার পরিষদ নেতার পদত্যাগ

গণ অধিকার পরিষদ যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরহাদ রহমান মুন্না দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন। রোববার (১৭ আগস্ট) তিনি ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে মুন্না লিখেছেন, “আমি আমার নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শের বাইরে কোনো অনিয়ম গ্রহণ বা সমর্থন করব না। আজ থেকে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে আমার কোনো সাংগঠনিক বা রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকবে না।” তিনি জানান, দলের কিছু সুবিধাবাদী নেতা আওয়ামী লীগের দোসরদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তাদের দলে পদ দিচ্ছেন, যা তিনি মেনে নিতে পারেননি।
মুন্না অভিযোগ করেন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল ও যশোর জেলা সভাপতি আশিকুর রহমান অর্থের বিনিময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি গাজী মো. আবুল কালামকে যশোর জেলা গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি করেছেন। তিনি এটিকে দলের নীতি ও নৈতিকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে আশিকুর রহমান বলেন, জেলা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনের মাধ্যমে গঠিত হয়, এবং আর্থিক লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই। তিনি গাজী মো. আবুল কালামের বিষয়ে বিস্তারিত না জানার কথা বলেন এবং মুন্নাকে ‘আবেগী মানুষ’ উল্লেখ করে জানান, তিনি আগেও কয়েকবার পদত্যাগ করেছিলেন।
আশিক ইকবাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গণ অধিকার পরিষদ গণমানুষের দল এবং নেতাকর্মীদের অর্থে পরিচালিত হয়। তিনি দাবি করেন, গাজী মো. আবুল কালাম আওয়ামী লীগের সঙ্গে কখনো সম্পৃক্ত ছিলেন না, বরং তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২২ আগস্ট যশোরের মুন্সি মেহেরুল্লাহ ময়দানে গণ অধিকার পরিষদের গণসমাবেশে দলের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপস্থিত থাকার কথা। এই ঘটনায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
Comments