দিনাজপুরে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর ওপর হামলায় আহত ৪০, অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর

দিনাজপুরে-৪ (খানসামা- চিরিরবন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে চরম উত্তেজনা চলছে। এ জের ধরেই মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় মিয়া গ্রুপের অনুসারীরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে কাচিনিয়া বাজারে কেন্দ্রীয় ৩১ দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ও ভাবকী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল শাহ ইউনিয়নের তিনটি স্থানে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা প্রচারের জন্য সভার আয়োজন করেন। এ নিয়েই বিরোধ দেখা দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়ার অনুসারীদের সঙ্গে।
আখতার মিয়ার অনুসারীরা জানান, আবদুল জলিল আগে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন এখন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য, ইউনিয়ন বিএনপির দায়িত্বে আছেন মিয়া গ্রুপের অনুসারী নাসির উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক সেলিম শাহ, মিজানুর রহমান ও তহিদুল ইসলাম তহি। এ বিরোধের জেরে শুক্রবার দুপুরে আবদুল জলিল শাহ ও ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আশরাফ আলী প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ।
এই হামলার প্রতিবাদে কাচিনিয়া বাজারে মোস্তফিজুর রহমান চৌধুরী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে শেষ করে আসার সময় নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলার করে মিয়া গ্রুপের অনুসারীরা। এতে (অব.) কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ ৪০ জন নেতাকর্মী আহত ও অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচার ও তৃণমূল বিএনপিকে সংগঠিত করতে গিয়ে আমরা রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছি। এটা শুধু আমার ওপর বা আমার নেতা কর্মীর ওপর হামলা নয়, বরং বিএনপির রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে দমিয়ে রাখা এবং তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজে বাধাগ্রস্ত করা। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’
হামলার প্রতিবাদে আজ (শনিবার ১২ জুলাই) পাকেরহাট চৌধুরী রাইস মিলে আহত নেতা কর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
অন্যদিকে,মিয়া গ্রুপের অনুসারী জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও ভাবকী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর গ্রুপের কেউ জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমুল হক বলেন, ঘটনার সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments