Image description

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এবং জাতীয় নির্বাচনের বহু আগেই দেশে থেকে তারেক রহমান দলকে নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে পূবালী ব্যাংকের কর্মচারী সংঘের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। 

এ সময় ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে সেই ষড়যন্ত্র কাজে দেবে না, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ আবারও সুযোগ খুঁজছে। পেছনের দরজা দিয়ে এসে জনগণের অধিকার হরণ করা যায়। তাই সবাইকে চলমান ষড়যন্ত্র রুখতে চোখ কান খোলা রাখার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। 

এর আগে গত ১০ আগস্ট নিজের দেশে ফেরা নিয়ে রাজশাহী বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই তিনি দেশে ফিরবেন।  

সেদিন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘ইনশাআল্লাহ অতি শিগগির আপনাদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হবে।’ 

এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এরপরই হয়তো জানা যাবে তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনক্ষণ। সেই অপেক্ষায় বিএনপির নেতাকর্মীরা।  

২০০৭ সালের এক–এগারোর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। পরের বছর জামিনে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি। এরপর প্রায় দেড় যুগ ধরে সপরিবার সে দেশে আছেন তারেক রহমান। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ আমলে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তাঁর সাজা হয়েছিল। ওই সব সাজা ইতিমধ্যে বাতিল হয়েছে। অন্যান্য মামলা থেকেও খালাস পেয়েছেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তাকে ফেরানোর কোনো উদ্যোগ বা প্রক্রিয়া আছে কি না, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমান কখন ফিরবেন, সেটা উনার সিদ্ধান্ত। উনি এই দেশের নাগরিক, উনি যেকোনো সময় আসতে পারেন। তবে আসার জন্য ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে সেটা আমরা সমাধান করব, তবে সিদ্ধান্ত তাঁর নিতে হবে।’

তিনি পাসপোর্টের জন্য কোনো আবেদন করেছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি জানি না এখন পর্যন্ত। যদি করেও থাকেন, সেটা আমার গোচরে আসেনি। উনি আসবেন যখন, তখন পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট যেটাই দরকার দেওয়া হবে।’

আপনারা নিজেরা কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মনে হয়, সেটার প্রয়োজন হবে না। তার মানে আমরা বলব না আপনি আসেন না কেন। উনি যখন আসতে চাইবেন, তখন যেটুকু সহায়তা প্রয়োজন, সেটা দেওয়া হবে।’