Image description

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় যৌতুকের এক লাখ টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে; যিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা।

ঘটনার তিন দিন পর রোববার দুপুরে উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলেছেন ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন।

তাদের অভিযোগ, পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে। এ ছাড়া ঘটনাটি মীমাংসার জন্য রাজনৈতিকভাবে তাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে। তবে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের ওই নেতা।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, এর আগে বৃহস্পতিবার ওই গৃহবধূ মারা যাওয়ার পর তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছিল। পরে যুবদলের এক নেতার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

মৃত ফাতেমা বেগম (২৬) উপজেলার টুমচরের কালিচর গ্রামের মো. হাসানের স্ত্রী। হাসান টুমচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমার ভাই আবু হেনা বলেন, “সাত বছর আগে ফাতেমাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন হাসান। বিয়ের তিন মাস পর থেকে ফাতেমাকে মারধর করা হয়। আমার বোনের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ছোট ছেলের বয়স ছয় মাস।

“বুধবার ফাতেমা আমাদের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে যায়। হাসান আমাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চেয়েছিল; যা আমরা টাকা দিতে পারিনি। খালি হাতে বাড়ি যাওয়ায় হাসান আমার বোনকে হত্যা করেছে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “হাসান পরকীয়ায় আসক্ত। তিনি অন্য মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতেন; যা ফাতেমা আমাকে জানিয়েছিল। বিভিন্ন সময় হাসান আমার বোনকে নির্যাতনও করত।”

যৌতুক না পেয়ে হাসান পরিকল্পিতভাবে ফাতেমাকে হত্যা করেছেন বলে দাবি আবু হেনার। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেছেন ফাতেমার মা, বাবা ও প্রতিবেশীরা।

তবে ফাতেমাকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে হাসান বলেন, তার স্ত্রী স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি আব্দুল মোন্নাফ।