Image description

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে বালিশ চাপা ও গলা টিপে হত্যার পর স্বামী নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে আত্মসমর্পণ করেছেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর থানার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম জেমি (১৯)। তিনি দিনাজপুর জেলার শেতাবগঞ্জ থানার মিচরিগোলা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে। গ্রেপ্তার স্বামী রাকিব হাসান (২২) বগুড়া জেলার লতিফপুর এলাকার মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। তাদের তাজিম নামে দুই বছরের একটি ছেলে ও রাইসা আক্তার জেরীন নামে মাত্র দুই মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার পর পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে রাকিব বালিশ চাপা ও গলা টিপে স্ত্রীকে হত্যা করেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করে বলেন, “আমি আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছি। আমি ঘরে আছি, আত্মসমর্পণ করব। আপনারা আমাকে নিয়ে যান।” এরপর তিনি ঘরে বসেই পুলিশের জন্য অপেক্ষা করেন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মেঝেতে স্ত্রীর নিথর দেহ এবং পাশে কাঁদতে থাকা দুই সন্তানের হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখতে পায়। গ্রেপ্তারের সময় রাকিবকে অনুশোচনায় কাঁদতে দেখা যায়। স্বজনেরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “রাকিব, তুই কী করলি! এখন তোর বাচ্চা দুইটারে কে দেখবে?” যা উপস্থিত সবাইকে আবেগাপ্লুত করে তোলে।

কাশিমপুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।