
নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে স্থান আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। তবে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বিশাল জয় দিয়ে দাপটের সঙ্গে অভিযান শেষ করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই দাপুটে জয়ে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘সি’-এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
মূলপর্বে ওঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা নিজেদের জালে মাত্র একটি গোল হজম করে, যা ছিল স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে। টানা তিন জয়ে বাংলাদেশ এখন এশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতার মূলপর্বে খেলার জন্য প্রস্তুত।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ছিল অপ্রতিরোধ্য। মাত্র ৩ মিনিটেই গোলের সূচনা করেন স্বপ্না রানী। এরপর ৬ ও ১৩ মিনিটে জোড়া গোল করেন শামসুন্নাহার। ১৬ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে আরও তিনটি গোল আসে মনিকা, ঋতুপর্ণা ও তহুরা খাতুনের পা থেকে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে ৪২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ঋতুপর্ণা। এতে ৭ গোলের বিশাল লিড নিয়েই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর যদিও আক্রমণের ধার কিছুটা কমে আসে, তবে ২০১০ সালে ভুটানের বিপক্ষে গড়া ৯-০ গোলের সর্বোচ্চ জয় রেকর্ডটি অক্ষত থাকে। পুরো বাছাইপর্বজুড়েই বাংলাদেশ দারুণ ছন্দে ছিল। প্রথম ম্যাচে তারা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় এবং দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে হারায়, যে জয়ই তাদের মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করে।
আগামী বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় এএফসি নারী এশিয়ান কাপের আসর বসবে। এই প্রতিযোগিতায় সেরা ছয়ের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারলেই ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে বাংলাদেশ। ঋতুপর্ণা ও তহুরাদের এই পারফরম্যান্স সেই স্বপ্নকে এখন আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।
Comments