Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিতের হাইকোর্টের আদেশের পর তাৎক্ষণিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত এই আদেশ স্থগিত করেছে। ফলে ৯ সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গনি ও শেখ তাহসিন আলীর বেঞ্চ সোমবার বামজোট মনোনীত প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলমের রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেন। রিটে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। তবে চেম্বার আদালতের আদেশে এই স্থগিতাদেশ বাতিল হওয়ায় নির্বাচনের পথে আর কোনো বাধা নেই।

সারজিস আলম ফেসবুকে লিখেছেন, “এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে। ৯ সেপ্টেম্বরই ডাকসু হবে। যারা নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীরা লাল কার্ড দেখাবে।” তিনি আরেক পোস্টে নিশ্চিত করেন, “হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে স্থগিত। ডাকসু নির্বাচন যথাসময়ে হবে।”

এই নির্বাচনে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও বামপন্থী সংগঠনসহ ১০টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। ডাকসুর ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রার্থী, যার মধ্যে ৬২ জন নারী, এবং ১৮টি হলের ১৩টি পদে ১,০৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চূড়ান্ত হয়েছেন। সদস্য পদে সর্বোচ্চ ২১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।