Image description

বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ বাড়ছে। বর্তমানে দেশে প্রতি ৪ জনে ১ জন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। উচ্চ রক্তচাপ সনাক্তের পর অধিকাংশ মানুষই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেনা। কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে এ রোগের ওষুধ প্রদান শুরু হলেও টেকসই অর্থায়নের অভাবসহ অন্যান্য কারণে ওষুধ সরবরাহে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। সংকট মোকাবেলায় প্রান্তিক পর্যায়ে সকল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে আয়োজিত “বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: অগ্রগতি, বাধা এবং করণীয়”শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়। 

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) কর্মশালাটির আয়োজন করে। কর্মশালায় রংপুর বিভাগে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। 

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জিএইচআই'র বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, প্রজ্ঞা'র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের, বাংলাদেশ সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থা'র কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সিনিয়র সাংবাদিক আল মামুন, মেরিনা লাভলী প্রমুখ।

কর্মশালায় জানানো হয়, সম্প্রতি অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্ত:মন্ত্রণালয় সহযোগিতা বাড়াতে সরকারের ৩৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ একটি ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষর করেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের একটি প্রতিবেদনে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পর্যায়ে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ বিনামূল্যে প্রদানের সুপারিশ করেছে।

বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপজনিত অসংক্রামক রোগ কার্যকরভাবে কমাতে সকল কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ রোগের ওষুধ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসংক্রামক রোগ খাতে বাজেট বৃদ্ধির জন্য জোর দেন বক্তারা।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।