Image description

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হামলায় ১৩শ শতাব্দীতে নির্মিত ৭৫০ বছরের পুরোনো আল-আয়বাকি মসজিদটি বোমায় গুঁড়িয়ে গেছে। এই হামলার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মসজিদটি ধ্বংস হয়। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলুকরা, যারা ১২ শতকে মিসরের শাসক ছিলেন, ১৩ শতকের শেষদিকে তারা এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। শেখ আব্দুল্লাহ আল আয়বাকি-এর নামানুসারে এটি 'আল-আয়বাকি মসজিদ' নামে পরিচিত ছিল। এটি গাজার মানুষের কাছে একটি গৌরবের প্রতীক হিসেবে গণ্য হতো।

গত কয়েকদিন ধরে গাজা সিটি দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর প্রবল বোমাবর্ষণ ও গুলির মুখে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, "গাজা জ্বলছে।"

মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনারা বোমাবর্ষণের পর ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে শহরে প্রবেশ করে। ওই দিনই অন্তত ৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় সড়কে পালানোর চেষ্টা করা একদল মানুষের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় শহরের অন্তত ১৭টি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেড মনিটর জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা অন্তত ১৫টি বিস্ফোরকভর্তি রোবট ব্যবহার করছে, যা একেকটি সর্বোচ্চ ২০টি বাড়ি ধ্বংস করতে সক্ষম।

এই চলমান পরিস্থিতিতে গতকাল জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় দুই লাখ মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েলি নেতৃত্বের 'বিশেষ অভিপ্রায়' স্পষ্ট।