Image description

যেখানে বদলি, সেখানেই বিয়ে করে দেশব্যাপী আলোচিত বরিশাল বিভাগীয় সেই বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কবির হোসেন পাটোয়ারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, কবির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

বিদেশে পড়াশোনা করানো, সরকারি চাকরি দেওয়া, বিমানবালা হিসেবে চাকরি দেওয়া কিংবা সম্পত্তি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ নারীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে কবির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তার বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী নারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গত ১১ সেপ্টেম্বর বরিশাল নগরীর কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সভা করেন।

এসময় ঢাকার বাসিন্দা নাজনীন আক্তার শীলা, নারায়ণগঞ্জের সোনিয়া আক্তার, খুলনার নাসরিন আক্তার দোলনসহ একাধিক নারী তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন।

অপরদিকে একাধিক বিয়েকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালে আদালতে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হাফিজ আহমেদ বাবলু স্ব-প্রণোদিত হয়ে মেট্রোপলিটন প্রথম আমলি আদালতে মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক মো. সাদিক আহমেদ মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট হাফিজ আহমেদ বাবলু জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাসিন্দা। তিনি এর আগে ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত থাকাকালে ১৭টি বিয়ে ও বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে তিনি বিষয়টি জেনেছেন।

আইনজীবী আরো জানিয়েছেন, আসামি বন কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী প্রতিটি বিয়ের বিষয়ে মুসলিম ফ্যামিলি আইনের ১৯৬১ এর ৬ ধারার বিধান লঙ্ঘন করে অধ্যাদেশ ৬ (৫) এর (খ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করেছেন।

এছাড়া প্রথম বিয়ের পর তা গোপন রেখে এক এক করে ১৭টি বিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশীয় সংস্কৃতি এবং আমাদের সমাজব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে গুরুতর অপরাধ সংগঠিত করেছেন। গণমাধ্যমের খবর দেখে তিনি (আইনজীবী) স্ব-প্রণোদিত হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটোয়ারীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।