Image description

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন্ন রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে ভিন্নধর্মী কৌশল। প্রচলিত মাইকিং বা ব্যানার ঝোলানোর পরিবর্তে প্রার্থীরা লিফলেট বিতরণ ও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। কেউ দলিলের মতো পোস্টার, কেউবা টাকার আদলে লিফলেট তৈরি করেছেন। এমনকি কেউ কেউ পুলিশের পোশাক পরে ভিডিও বানিয়ে দৃষ্টি কাড়ার চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীদের। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল বেলা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ও আবাসিক হল গুলোতে এমন প্রচারণার দৃশ্য দেখা যায়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে প্রতিদিন সকাল-বিকাল প্রার্থীরা লিফলেট পৌঁছে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের হাতে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও হলভিত্তিক ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদের কর্মসূচি, ভিশন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হচ্ছে। ফলে ক্যাম্পাসজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী নির্বাচনী আমেজ।

ইসলামি ছাত্রশিবিরের মনোনীত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, রাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রাপ্য অধিকার। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে একটি সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধান ও তাদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের জন্য রাকসু হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর প্ল্যাটফর্ম।

তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিটি হলে শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি মতবিনিময় করছি, তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনছি। একই সঙ্গে লিফলেট, ভিডিও বার্তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে আমাদের ভাবনা ও কর্মসূচি পৌঁছে দিচ্ছি সবার কাছে।

অন্যদিকে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর বলেন, রাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে হারানো প্রাণচাঞ্চল্য ও উচ্ছ্বাস ফিরিয়ে আনতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সবসময় চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের কাছে ঘনিষ্ঠভাবে পৌঁছাতে এবং তাদের প্রত্যাশা-আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিতে।

তিনি আরো বলেন, ছোটবেলায় ঈদের সময় যেমন আনন্দ ও উচ্ছ্বাস আমাদের মনে কাজ করতো, এখন রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝেও ঠিক তেমনই একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের কর্মসূচি ও ভিশন তুলে ধরছি।

আগামী নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা যেন নিজের পছন্দের প্রার্থীকে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, সে লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম। 

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের দিন সার্বিক নিরাপত্তার জন্য দুই হাজার পুলিশ নিযুক্ত করা হবে এবং ভোট গননার সমস্ত প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।