Image description

নিয়মনীতি অনুসরণ না করে কর্মচারী নিয়োগ, ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি ও অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টা থেকে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় তারা বিকেল সাড়ে ৪ টা নাগাদ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযানটি পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর। তিনি জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই কর্মচারী নিয়োগ, পরিবহন ও আপ্যায়ন বাবদ অতিরিক্ত ব্যয়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় এবং বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। অভিযানে পাওয়া সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র এবং অন্যান্য তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। যা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করা হবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রশ্নের কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। বিষয়টি আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন। তদন্ত শেষে দায়ীদের চিহ্নিত করা যাবে।

এসব বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছি। নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে অনেক কিছুই আমার জানা নেই। মূলত একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। তবুও দোষী হয়ে থাকলে আইনানুগ যেকোনো পদক্ষেপ মেনে নেব।