Image description

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও দুর্নীতির অবসানের দাবিতে জেন-জি প্রজন্মের বিক্ষোভে সৃষ্ট সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই অস্থিরতায় অন্তত ২ হাজার ১১৩ জন আহত হয়েছে।

গত সপ্তাহের দুইদিনের বিক্ষোভে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত শপিং মল, বাড়ি ও অন্যান্য ভবনে এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আগুন ও হামলায় মারা যাওয়া অনেকের লাশ এখন আবিষ্কৃত হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র প্রকাশ বুদাথোকি বলেন, “শপিং মল, বাড়ি ও অন্যান্য ভবনে লাগিয়ে দেওয়া আগুন বা হামলায় মারা যাওয়া অনেক মানুষের লাশ এখন আবিষ্কৃত হচ্ছে।”

বিক্ষোভকালে সুপ্রিম কোর্ট, পার্লামেন্ট ভবন, পুলিশ কার্যালয়সহ অসংখ্য সরকারি ভবন ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও অন্যান্য রাজনীতিকের পারিবারিক বাড়িঘরও লক্ষ্য হয়।

সহিংসতার মধ্যে পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির জায়গায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এই সরকারের অধীনে আগামী বছরের ৫ মার্চ নেপালে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জেন-জি প্রজন্মের এই বিক্ষোভ দেশব্যাপী অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের দাবিতে এই আন্দোলন ব্যাপক রূপ নিয়েছে।