কেরানীগঞ্জে যুবক হত্যা: সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত করছে পুলিশ

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ছগির নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথভাবে তদন্তে নেমেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, যা বিশ্লেষণ করে তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার পর রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে ছগিরের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে, মাগরিবের নামাজের পর জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হবে।
ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার সকালে। ছগির টিফিন ক্যারিয়ার হাতে ইসলামপুরে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে চুনকুটিয়া হিজলতলা এলাকায় সুধার বাড়ির সামনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আমির হোসেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর ৩৫) দায়ের করেছেন।
নিহতের পিতা আমির হোসেন জানান, হত্যার স্থানে ছগিরের মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি, যদিও শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ফোনটি চালু ছিল। তিনি পুলিশের সংগ্রহ করা সিসিটিভি ফুটেজে দেখেছেন, মাথায় ক্যাপ ও মুখে মাস্ক পরা একাধিক যুবক হাতে দা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে হেঁটে চলে যাচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আখতার হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সন্দেহভাজন অনেকেই তালিকায় রয়েছে। তবে নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য নিখুঁতভাবে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখন সবকিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে, এবং শিগগিরই হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”
Comments