নবীনগরের হোটেলে নোংরা খাবার: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার হোটেল ও খাবারের দোকানগুলোতে নোংরা ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। দিনমজুর, ব্যবসায়ী ও দূর-দূরান্ত থেকে আগত মানুষ এসব হোটেল থেকে অস্বাস্থ্যকর খাবার অতিরিক্ত মূল্যে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে খাবারের মান ও মূল্য নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে হোটেল মালিকরা লাগামহীনভাবে অনিয়ম করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ উঠলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এক ভোক্তা বলেন, “টাকা দিয়ে যেন বিষ কিনে খাচ্ছি। নোংরা পরিবেশে রান্না, ফুড পয়জনিং আর ডায়রিয়া এখন নিত্যনৈমিত্তিক।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, হোটেলগুলোতে পুরোনো প্লাস্টিকের বোতলে পানি, নোংরা ফ্রিজে মাছ-মাংস-শাকসবজি একসঙ্গে সংরক্ষণ, পোড়া তেলে বারবার ভাজা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে রান্না ও অপরিচ্ছন্ন প্লেটে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। দামের ক্ষেত্রেও অনিয়ম: বাজারে ডিম ১২.৫০ টাকা হলেও হোটেলে ২০-২৫ টাকা, খিচুড়ি ৩৫ থেকে বেড়ে ৮০-১০০ টাকা, ৪৫-৫০ গ্রাম রুই মাছ ২০০-২৫০ টাকা, ৫০ গ্রাম পাঙাস ৭০-১০০ টাকা এবং ৫০-৫৫ গ্রাম গরুর মাংস ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, “খাবারে শক্তি পাওয়ার কথা, কিন্তু এ যেন বিষ। ডায়রিয়া, পেটের সমস্যা ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদে বড় রোগের ঝুঁকি রয়েছে। প্রশাসনের তৎপরতা বাড়াতে হবে, না হলে দোকান সিল করা উচিত।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কিশালয় সাহা বলেন, “ফুড পয়জনিং প্রতিরোধে প্রচারণা চলছে। অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনকারীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে শাস্তি দেওয়া হবে।” উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী জানান, “নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
Comments