
হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে চিকিৎসক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর কাছ থেকে কোটি টাকা চাঁদা দাবির ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোসাইপুর এলাকার মাহিনূর আলম তুহিন (১৯) গত বছর ৪ আগস্ট ছাত্রআন্দোলনে আহত হওয়ার দাবি তুলে সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরসহ ১৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে একটি এজাহার তৈরি করেন। এই এজাহার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মেয়রসহ রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তুহিন ও তার সহযোগীরা এই এজাহারের ভিত্তিতে একজন চিকিৎসকের কাছে ২০ লাখ টাকা এবং শায়েস্তাগঞ্জের এক ব্যবসায়ীসহ অন্তত পাঁচজনের কাছ থেকে মোট কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এজাহারে ১৩ জনের নাম সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যার মধ্যে জেলা এনসিপি সদস্য ও আইনজীবী আব্দুল ওয়াহেদ মনির এবং যুগ্ম সমন্বয়কারী নুরুল হক টিপু রয়েছেন। তারা দাবি করেন, এই মামলা সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না এবং তাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নুরুল হক টিপু ও আব্দুল ওয়াহেদ মনির হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে মিথ্যা এজাহার তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। তারা বলেন, “আমরা সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করি। আমাদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি চালানো হচ্ছে। তাই আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।”
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহাবুদ্দিন শাহিন জানান, মাহিনূর আলম তুহিনের তৈরি এজাহার অনেকের কাছে রয়েছে বলে শুনেছি, তবে এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। বরং তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ খুঁজছে।
Comments