
চাপের মুখে থাকা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বিভক্ত পার্লামেন্টে সমঝোতা খুঁজে বের করা এবং ২০২৬ সালের বাজেট পাশ করানো এখন তার চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মাত্র নয় মাস ক্ষমতায় থাকার পর অনাস্থা ভোটে হেরে সরকার থেকে বিদায় নিতে হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরুকে। বাড়তে থাকা ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের অজনপ্রিয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে সরে দাঁড়াতে হয়। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত ভোটে ৩৬৪ জন এমপি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, আর সমর্থনে যান মাত্র ১৯৪ জন। সরকার পতনের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটসংখ্যার চেয়ে এ সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় বাইরু পদত্যাগ করতে হয়।
সোমবার (৮ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এখন লেকর্নুর সামনে দ্বৈত চ্যালেঞ্জ একদিকে ফ্রান্সকে আর্থিক সংকট থেকে বের করে আনা, অন্যদিকে এমন একটি সরকার নেতৃত্ব দেওয়া, যা গণবিক্ষোভের জন্য প্রস্তুত। বুধবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর ইউনিয়ন-নেতৃত্বাধীন ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, বাইরু সংসদে ৪৪ বিলিয়ন ইউরোর সাশ্রয় পরিকল্পনা পাস করাতে চেয়েছিলেন। পরিকল্পনায় সরকারি ব্যয় স্থগিত করা ও দুটি সরকারি ছুটি বাতিলের প্রস্তাব ছিল। এসব পদক্ষেপে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও অস্বস্তি দেখা দেয়। এর ফলে আস্থা ভোটে হেরে বাইরু পদত্যাগে বাধ্য হন। এর পরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়েন লেকোর্নু ও বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় ছিলেন।
এছাড়া ২০২৪ সালের মে মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি অভূতপূর্ব সাফল্য পায়। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট মাখোঁ হঠাৎ সংসদ ভেঙে দেন। ফলস্বরূপ রাজনৈতিক অঙ্গন বিভক্ত হয়ে পড়ে।
Comments