Image description

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পাত্রখাতা নালার উপর প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য একটি সেতুর কাজে চরম অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সংযোগ সড়কের গাইডওয়ালের স্লাব হাতের সামান্য চাপেই ভেঙে ধুলায় পরিণত হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল সেতুর কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের গাইডওয়াল অত্যন্ত নিম্নমানের কংক্রিট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে হাতের চাপেই স্লাব ভেঙে যাচ্ছে। এতে বোঝা যায় ঠিকাদাররা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগীয় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ৬৮ মিটার দীর্ঘ এ সেতুর কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। পরবর্তীতে সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত করা হয়। ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার এ কাজ করছে মেসার্স বসুন্ধরা ও মেসার্স খায়রুল এন্টারপ্রাইজ।

সোমবার (৮সেপ্টেম্বর) সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মূল সেতুর কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের গাইডওয়ালে ব্যবহৃত ভাঙা ও নিম্নমানের স্লাব আলাদা করে জড়ো করে রাখা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এসব স্লাব হাতের চাপেই গুঁড়িয়ে যাচ্ছে।

পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল আজিজ বলেন, “আমরা কাজ চলাকালীনই বুঝেছি সামগ্রী ভালো নয়। এখন তার প্রমাণ মিলছে। হাত দিলেই স্লাব ভেঙে ধুলায় পরিণত হচ্ছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, “এই সেতুই আমাদের একমাত্র চলাচলের পথ। এত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। এলজিইডিকে বহুবার অভিযোগ করলেও কাজের মান উন্নত হয়নি।”

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী লেলিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

৪নং রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আঁকা বলেন, “বিষয়টি আমাদের জানা আছে। জননিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস করা হবে না।”

চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন, “অভিযোগ পেয়ে আমরা সরেজমিনে গিয়েছি। দেখা যায়, কিছু রিজেক্টেড ব্লক গাইডওয়ালের পাশে রাখা হয়েছে। এগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। নিম্নমানের কোনো ব্লক ব্যবহার করা হবে না।”