Image description

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের নির্বাচন একসঙ্গে হলে ‘মবকারীরা’ বিভিন্ন এলাকায় ভাগ হয়ে যাবে, ফলে তারা একত্রে গোলযোগ সৃষ্টি করে সুবিধা করতে পারবে না। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দেশের ‘মব’ পরিস্থিতি, নির্বাচনের সময় এর প্রভাব এবং কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “৩০০ আসনে নির্বাচন হলে মবকারীরা নিজ নিজ এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে, একত্রে তাদের পাওয়া যাবে না।”

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি জোরদার করেছে। ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে নির্বাচনী চিঠি পাওয়ার পর থেকে কাজ আরও ত্বরান্বিত হয়েছে, যদিও এর আগেই বড় কাজ শুরু করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, “আমরা এমন প্রস্তুতি নিচ্ছি যেন কেউ বলতে না পারে কমিশন প্রস্তুত ছিল না। সরকার যখনই চাইবে, আমরা নির্বাচন পরিচালনা করতে প্রস্তুত।” রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাব নিয়ে প্রশ্নে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অতীতে মতপার্থক্য থাকলেও সমঝোতা হয়েছে, এবারও তাই হবে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলগুলোর আলোচনা এবং কমিশনের স্বাধীন কার্যক্রমকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন।

গুজব প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “এ দেশ গুজবের দেশ। গুজব তৈরির জন্য অনেক ‘ইন্ডাস্ট্রি’ গড়ে উঠেছে। গুজবে কান দেওয়া উচিত নয়।” নির্বাচনে কালোটাকা প্রতিরোধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে বড় পরিসরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক গোলযোগের ঘটনায় তিনি বলেন, “আমরা জিডি করেছি এবং পুলিশকে অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” তিনি শেষে জোর দিয়ে বলেন, “আমরা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি।”