
প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও বেশ ভুগেছেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা। নাসুম আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানদের সামনে ভালোভাবে দাঁড়াতেই পারেনি ডাচরা। তাদের টপ অর্ডার ভেঙে যায় তাসের ঘরের মতো। শেষ দিকে আরিয়ান দত্ত কিছুটা লড়াই করলে কোনোরকমে একশ পেরিয়ে অলআউট হয় সফরকারীরা। দাপুটে ব্যাটিংয়ে সেই লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে গেছে টাইগাররা। ৯ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
সিলেটে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভার ৩ বলে ১০৩ রান করে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন আরিয়ান দত্ত। বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার নাসুম। জবাবে খেলতে নেমে ১৩ ওভার এক বলে এক উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দেখে-শুনে খেলার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিং বড় করতে পারেননি ইমন। ২১ বলে ২৩ রান করেছেন ইমন।
ইমন থিতু হয়ে ফিরলেও ফিফটি পেয়েছেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। ৩৯ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই তামিম।
লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ১৮ রান। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৬৪ রানের জুটিতে বড় জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এর আগে আজও বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসের প্রথম ওভারে বোলিং করেছেন শেখ মেহেদি। তবে আরেক প্রান্ত থেকে পেস আক্রমণে যায় টাইগাররা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাসকিন আহমেদ তার প্রথম ওভারে দেন ৭ রান।
তৃতীয় ওভারেই বোলিং পরিবর্তন করেন লিটন। মেহেদিকে সরিয়ে নাসুমের হাতে বল তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আক্রমণে এসেই সফল এই বাঁহাতি স্পিনার। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা উইকেট পেয়েছেন তিনি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে এসে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। এই ডানহাতি পেসারের খাটো লেংথের বলে পেছনের পায়ে ভর দিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের মাথার উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে বলে গতি না থাকায় তানজিম সাকিবের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
পাওয়ার প্লেতেই তিন উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডস আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে একশর আগেই অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিল তারা। তবে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নামা আরিয়ান দত্তের ৩০ রানের ইনিংসে ভর করে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে ডাচরা।
Comments