
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হবে, তবে বর্তমানে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রিটার্নিং কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি এবং ভবিষ্যতেও এমন সম্পৃক্ততার সুযোগ নেই।
জসীম উদ্দিন বলেন, “নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আমরা পরিকল্পনায় রেখেছি। প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে সহযোগিতা চাওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মারুফুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেনা মোতায়েনের কথা উঠেছিল। ভোটকেন্দ্র আবাসিক হল থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর ভোট দিতে আট মিনিট সময় লাগবে। শতভাগ ভোটার উপস্থিত থাকলেও সবাই ভোট দিতে পারবেন। পর্যাপ্ত বুথ স্থাপন করা হবে। কোনো অনিয়ম হবে না।”
আচরণবিধি–সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী জানান, ক্যাম্পাসে ব্যানার-ফেস্টুন সরানো হয়েছে। প্রার্থীরা হ্যান্ডবিল-লিফলেট বিতরণ করছেন। চারুকলায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা আজকের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। তিনি আরও বলেন, “এর আগে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গানবাজনা করে ইশতেহার প্রকাশের অভিযোগে এক প্রার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। পুনরায় এমন ঘটলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Comments