
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তার কর্মজীবনের কঠিন অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। একজন প্রকৌশলী হিসেবে পড়াশোনা শেষ করে মডেলিং ও এরপর চলচ্চিত্র জগতে আসা তার জন্য সহজ ছিল না। তিনি বলেন, বলিউডের মতো "ঝলমলে দুনিয়ায় বিনা পয়সায় কিছু পাওয়া যায় না।"
২০১৪ সালে 'হিরোপন্তি' ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন কৃতি। ছবিটি সফল হলেও এরপরের পথচলা কঠিন ছিল। ফিল্মি পরিবারের বাইরের একজন হিসেবে প্রতিযোগিতা ও সুযোগ পাওয়া তার জন্য ছিল এক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ধৈর্য, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে তিনি এগিয়ে যান। 'মিমি' ছবিতে তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন, যা তার কর্মজীবনের অন্যতম বড় সাফল্য।
সিএনএন-নিউজ ১৮ আয়োজিত 'সি-শক্তি ২০২৫' অনুষ্ঠানে কৃতি তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “চলচ্চিত্র জগতে টিকে থাকতে হলে আপনাকে জেদি হতে হবে, আবেগ থাকতে হবে। শর্টকাট বলে কিছু নেই। আউটসাইডার হলে লড়াইটা আরও কঠিন হয়। আর এখানে বিনা পয়সায় কিছুই পাওয়া যায় না—না খাবার, না কাজ।”
কৃতি আরও বলেন, এই ইন্ডাস্ট্রিতে নেতিবাচক মন্তব্য খুব স্বাভাবিক। মানুষ আপনার উচ্চতা, ওজন বা চেহারা নিয়ে ব্যঙ্গ করবে। কিন্তু নিজেকেই নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে। তার মতে, কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যই তাকে এই অবস্থানে এনেছে। তিনি তরুণদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, সুযোগ পেতে সময় লাগলে হতাশ না হয়ে সেই সময়টাকে নিজেকে আরও উন্নত করার কাজে লাগাতে হবে।
সম্প্রতি কৃতি অভিনীত 'ক্রু' ছবিটি মুক্তি পেয়েছে, যেখানে তিনি কারিনা কাপুর ও টাবু-এর মতো প্রভাবশালী অভিনেত্রীর মাঝেও নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। এছাড়া, তার প্রযোজনা সংস্থা 'ব্লু বাটারফ্লাই ফিল্মস'-এর ব্যানারে মুক্তি পেয়েছে থ্রিলার ছবি 'দো পাত্তি', যেখানে তিনি যমজ বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
কৃতির হাতে বর্তমানে কয়েকটি বড় বাজেটের সিনেমা আছে, যার মধ্যে আনন্দ এল রাইয়ের 'তেরে ইশক মে' ছবিতে দক্ষিণী তারকা ধানুশের সঙ্গে তাকে দেখা যাবে। ছবিটি চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
বলিউডে যারা বাইরের মানুষ হিসেবে প্রবেশ করতে চান, তাদের জন্য কৃতির পথচলা একটি বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Comments