
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দিলেও দলের ব্যাংক হিসাব নম্বর ও ব্যাংকের নাম উল্লেখ করেনি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্ত অনুযায়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের নাম জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
গত ৩১ জুলাই জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেয়। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দলটি গত বছর ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা আয় করেছে, যার মধ্যে কর্মীদের চাঁদা থেকে এসেছে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা। ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা, যার সবচেয়ে বড় অংশ (সাড়ে ৬ কোটি টাকা) কর্মীদের বেতন-ভাতায় ব্যয় হয়েছে। এই আয় বিএনপির প্রায় দ্বিগুণ এবং জাতীয় পার্টির ১১ গুণ বেশি। ২০২৫ সালের শুরুতে দলটির তহবিলে স্থিতি ছিল ১৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭ হাজার ৩১৩ টাকা।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার গত বৃহস্পতিবার বলেন, “জামায়াতের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর উল্লেখ নেই। নিবন্ধন শর্ত অনুযায়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা এবং নম্বর জমা দেওয়া আবশ্যক। বিষয়টি ইসি সচিবালয় থেকে কমিশনে এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্ট নম্বর না থাকার বিষয়টি আমাদের অর্থ বিভাগ দেখভাল করে। এ বিষয়ে খোঁজ নেব।”
ইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল আলম জানান, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ২৯টি নিবন্ধিত দল অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ১০টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে, এবং ১১টি দল প্রতিবেদন জমা দেয়নি। ইসি এখনও প্রতিবেদন যাচাই করেনি, তবে সময়মতো জমা না দেওয়া দলগুলোর বিষয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Comments