Image description

হৃদ্‌যন্ত্রের বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন চীনের হেনান প্রদেশের ১৮ বছর বয়সী তরুণী জিয়াং চেননান। তবে তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল একটি চিঠি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির খবর নিয়ে আসা সেই চিঠিটি যেন তার কাছে ‘আশ্চর্য ওষুধ’ হয়ে কাজ করেছে।

জিয়াং সম্প্রতি চীনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ‘গাওকাও’ শেষ করেছিলেন। এর পরপরই তিনি তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হন এবং পরীক্ষায় তার ফল বেরোনোর আগেই কোমায় চলে যান। চিকিৎসকেরা জানান, তার 'ফুলমিন্যান্ট মায়োকার্ডাইটিস' নামক একটি বিরল ও মারাত্মক রোগ হয়েছে, যা হৃদ্‌যন্ত্রে তীব্র প্রদাহ তৈরি করে। তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে তাকে একটি বড় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে তাকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছিল।

জিয়াং কোমায় যাওয়ার অষ্টম দিনে তার পরিবার একটি সুখবর পায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সফল হয়েছেন এবং তার ভর্তির চিঠি বাড়িতে পৌঁছেছে। তার বাবা দ্রুত সেই চিঠি নিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে যান। মেয়ের কানে কানে তিনি বলেন, "তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছ!" এই কথা শোনার পরই জিয়াংয়ের চোখের পাতা কেঁপে ওঠে। চিকিৎসকেরা এটিকে কোমা থেকে ফিরে আসার লক্ষণ হিসেবে দেখেন।

পরদিন সকালে, জিয়াংয়ের জ্ঞান ফিরে আসে। ভিডিও কলে তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং দুই হাত তুলে 'ওকে' ভঙ্গি করে জানান যে তিনি খুশি এবং সবকিছু শুনতে পারছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখন তার হৃদ্‌যন্ত্র সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং তিনি স্থিতিশীল।

পরিবার জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরেই জিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করবেন। তার বাবা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, "অর্থনৈতিক অবস্থা যতই কঠিন হোক, আমি তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাব। এটা তার স্বপ্ন।"