Image description

চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত মাথাভাঙ্গা নদীর উপর কয়েক বছর আগে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত হয়েছে নতুন একটি সেতু। পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতা ও নিরাপদ অবকাঠামো নিয়ে চালু হওয়া এই সেতুটি বর্তমানে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবুও আশ্চর্যের বিষয় হলো, নতুন সেতুটি চালু থাকার পরও ঝুঁকিপূর্ণ পুরানো ব্রিজটি প্রতিদিন ব্যবহার করছেন অসংখ্য মানুষ এবং যানবাহন।

দীর্ঘ ব্যবহারে ক্ষয়প্রাপ্ত ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়া পুরাতন ব্রিজটি আজ একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে দাঁড়িয়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বা বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। কিন্তু তবুও প্রতিদিন ভারী ট্রাক থেকে শুরু করে ছোট যানবাহন এবং অসংখ্য পথচারী প্রাণ হাতে নিয়ে সেতুটি পার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা হালিম বলেন নতুন সেতু থাকা সত্ত্বেও অনেকে অভ্যাসবশত কিংবা শর্টকাটের কারণে পুরানো সেতু ব্যবহার করছেন। অথচ এটি এখন একেবারেই নিরাপদ নয়।”

পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করেছে পুরানো সেতুর উপর গড়ে ওঠা দোকানপাট। নানা ধরনের অবৈধ দোকান বসে যাওয়ায় ওই পথটি দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি চারপাশে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। 

স্থানীয় তুহিন আলী জানান, “এই পথে প্রতিদিন অবৈধ যানবাহন, ট্রাকসহ নানা পরিবহন চলে। যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে সতর্কবার্তার সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে। কিন্তু শুধু সাইনবোর্ড দিয়ে সমস্যার সমাধান হয়নি। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়নি।

অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গার প্রাণকেন্দ্র বড়বাজার এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্স থাকলেও কার্যকর পদক্ষেপের অভাব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পুরানো সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। নাহলে একদিন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে বাধ্য।

শহরবাসী বলছেন, পুরানো সেতুটি অবিলম্বে বন্ধ না করলে এটি যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হবে। তাদের মতে, সেতুর উপর দোকানপাট উচ্ছেদ, ব্যারিকেড স্থাপন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

শহরবাসীর একটাই প্রত্যাশা নতুন সেতু যখন রয়েছে, তখন অযথা ঝুঁকি নিয়ে পুরানো সেতু ব্যবহার বন্ধ করা হোক। আর প্রশাসন যেন অবহেলা না করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়। কারণ একটি দুর্ঘটনা ঘটলেই তার দায়ভার নেওয়া কঠিন হবে, আর তাতে প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব হবে না।