
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগে ইউরোপে তেল সরবরাহকারী ‘দ্রুজবা পাইপলাইন সিস্টেম’-এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এই হামলায় পাইপলাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সোমবার(১৮ আগস্ট) সকালে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার জিজ্জার্তো।
পিটার জিজ্জার্তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তাকে লক্ষ্য করে এ ধরনের হামলা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য এবং এতে আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত আমাদের কোনো ব্যাপার নয়। আমরা তথাকথিত এ যুদ্ধ থেকে বাইরে আছি। তাহলে আমাদের কেন লক্ষ্যবস্তু করা হবে?”
এই হামলার ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। তিনি রোববার রাতে ওয়াশিংটনে পৌঁছান। ওয়াশিংটনে পৌঁছার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই হামলা চালানো হয়।
রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল সরবরাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ এই দ্রুজবা পাইপলাইন। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম তেল সরবরাহকারী পাইপলাইনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া ও কাজাখস্তান থেকে চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মানি, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড এবং স্লোভাকিয়ায় তেল সরবরাহ করা হয়। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী পাইপলাইনটির হাঙ্গেরীয় অংশে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
জিজ্জার্তো অবশ্য জানিয়েছেন যে রুশ এবং হাঙ্গেরীয় প্রকৌশলীরা পাইপলাইন মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেনের পক্ষে থাকলেও হাঙ্গেরি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে এবং প্রকাশ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচনাও করেছে। এর আগেও ইউক্রেন রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহকারী নর্থ স্ট্রিম পাইপলাইন সিস্টেমে হামলা চালিয়েছিল যা ইউরোপের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।
Comments