Image description

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত হওয়া এক প্রার্থীর ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) ফলাফল পজিটিভ আসায় তাঁর নিয়োগ আটকে গেছে। গত বছরের জুলাইয়ে ওই প্রার্থী তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে লাল ফ্রেম যুক্ত করেছিলেন। সেই স্ক্রিনশট গত বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের ফেসবুক আইডিতে কাভার ফটো হিসেবে আপলোড হয়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সহ-উপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন জানান, স্ক্রিনশটটি কীভাবে তার ফেসবুক আইডিতে আপলোড হয়েছে, তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, “ওই সময় আমি একটি বেসরকারি হাসপাতালের অস্ত্রোপচারকক্ষে ছিলাম। হাতের অস্ত্রোপচারের কারণে ফোন আমার হাতে ছিল না।” নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “ওই প্রার্থীর ডোপ টেস্ট পজিটিভ এসেছে। অনেক শিক্ষার্থী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে জানিয়েছে যে, ওই প্রার্থী জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো স্ক্রিনশট স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইলে ডাউনলোড হয়, সেখান থেকেই আপলোড হয়েছে। নিয়োগে কোনো প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই।”

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট নাট্যকলা বিভাগে তিনটি শিক্ষক পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৫০ জন প্রার্থী অংশ নেন। তিন ধাপের পরীক্ষার পর তিনজন প্রার্থী চূড়ান্ত হয়, এবং ৮ আগস্ট সিন্ডিকেটে তাঁদের নিয়োগ অনুমোদিত হয়। নিয়মানুযায়ী, নিয়োগের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ ও মাদক পরীক্ষার ফলাফল জমা দিয়ে প্রার্থীদের বিভাগে যোগদান করতে হয়। সম্প্রতি চালু হওয়া এই নিয়মের আওতায় চূড়ান্ত তিন প্রার্থীর মধ্যে দুজনের ডোপ টেস্ট পজিটিভ আসে। এরপর থেকে ওই দুই প্রার্থী প্রশাসন ও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাবি করছেন, তারা কখনো মাদক গ্রহণ করেননি এবং পরীক্ষার ফলাফল ভুল।

উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার জানান, তিনি ফেসবুক তেমন ব্যবহার করেন না, তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তিনি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি সহ-উপাচার্যের ফেসবুক পোস্ট দেখেননি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছ। এখানে কাউকে প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই।”