এবার হাত পাখার বাট ধরতে চায় সাবেক এমপি ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী

১২৯ পিরোজপুর-৩ মঠবাড়িয়ায় এবার হাত পাখার বাট ধরতে চায় এলাকায় পল্টিবাজ নামে খ্যাত সাবেক এমপি ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী। ১৯৯৬ সালে লাঙ্গল ২০০১ এ ধানের শীষ ২০১৪ তে স্বতন্ত্র এবং ২০১৮ সালের বির্তকিত রাতের আধাঁরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।
ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী রাজনৈতিক জীবনে কোন দল থেকে একবারের বেশি নির্বাচন না করায় এলাকায় পল্টিবাজ এমপি হিসেবে বেশ পরিচিত। নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য শয়তানের সাথে হাত মিলাতেও দ্বিধাবোধ করেননা এই নেতা। বলেশ্বর নদর্তীরবর্তী উপকূলী উপজেলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সাধারণ জনগণ এক সময় হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের প্রতি দুর্বল ছিল।
১৯৯৬ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদকে কারামুক্তির ইস্যুকে সামনে রেখে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে তিনি প্রথম বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। জাতীয় পাটি থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরই তিনি উপজেলা জাতীয় পার্টিকে খন্ড বিখন্ডিত করে জাতীয় পার্টির অস্বিস্ত বিলীন করে ২০০১ সালে বিএনপি তথা চার দলীয় ঐক্যজোটের জোয়ার দেখে লাঙ্গল ফেলে ধানের শীষের ছড়ি ধরেন। পরে চার দলীয় ঐক্যজোটের গণজোয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিএনপিকেও দ্বিধা বিভক্ত করে ফেলেন। এমনকি ১/১১ সময় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে তারেক রহমানকে ক্রয়ফায়ারে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। যার কারণে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজিত হন।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালের বিনা ভোট ও ২০১৮ সালে রাতের আধাঁরে ভোট ডাকাতির নির্বাচনে অংশ নিয়ে পল্টিবাজ এমপি হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের দোসর ডাঃ ফরাজীর বর্তমানে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই) এ যোগদানের ব্যাপক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
চরমোনাইয়ের ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এ যোগদানের খবরে প্রথমে দলটির স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা বিরোধিতা করলেও পরবর্তীতে পীরের আদেশ তা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। এমনকি ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকে মঠবাড়িয়া থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ইসলামি আন্দোলনের একাধিক দায়িত্বশীলরা।
এদিকে আওয়ামী লীগের দোসর পল্টিবাজ এমপি ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই) এ যোগদানের খবরে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে জানা যায় আওয়ামী লীগের দোসর ও পল্টিবাজ এমপিকে এলাকা থেকে বিতারিত করার ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ জনতা।
এব্যাপারে তুযখালী বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ বলেন, ডাঃ ফরাজী আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে দিনরাত শেখ হাসিনার গুনকীর্তন করছেন। সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এখন ভোল্ট পাল্টে আবার এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সেটা আর মঠবাড়িয়ার মাটিতে হবেনা।
টিকিকাটা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুল হক খোকন বলেন, ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন। তিনি বিএনপি অফিস ভাংচুর মামলার আসামি। আমরা তাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই।
সাপলেজা ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজ সেবক নাসির খান বলেন, বিগত সতেরো বছরে তিনি আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে সাধারণ মানুষকে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। আওয়ামী লীগের এ দোসর যে দল থেকেই নির্বাচনি মাঠে আসুক আমরা তাকে প্রতিহত করবো।
Comments