দাঁতের ক্ষয় থেকে ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি, জেনে নিন সুস্থ থাকার উপায়

দাঁতের ক্ষয় বা ক্যাভিটি একটি সাধারণ সমস্যা মনে হলেও এর অবহেলা ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ। এটি শুধুমাত্র দাঁত হারানোর কারণই নয় বরং এর সঙ্গে মুখের ক্যানসার, হৃদরোগ, এবং ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগের সম্পর্ক রয়েছে। দাঁতের ভেতরের ডেন্টিন এবং এনামেল ক্ষয়ে গেলে তা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের পথ খুলে দেয় যা থেকে শরীরের অন্যান্য অংশেও প্রদাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মুখের স্বাস্থ্য বা ওরাল হাইজিনের সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের গভীর সংযোগ রয়েছে।
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবার খাই যার ক্ষুদ্র অংশ প্রায়শই দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে। মুখের লালায় থাকা প্রোটিন এবং ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে এই খাদ্যের কণা মিশে এক ধরনের আঠালো স্তর তৈরি করে যাকে ডেন্টাল প্লাক বলা হয়। যদি সময়মতো এই প্লাক পরিষ্কার করা না হয় তাহলে এটি শক্ত হয়ে টার্টার বা ক্যালকুলাসে পরিণত হয়। এই টার্টার মাড়ি ও দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করে যার ফলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, প্রদাহ, দাঁতের ক্ষয় এবং দাঁত পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
দিনে দু'বার ব্রাশ করুন: ওরাল হাইজিন রক্ষার জন্য দিনে দু'বার ব্রাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করলে সারারাত জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া প্লাক তৈরি করতে পারে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তার পর ব্রাশ করলে সারাদিন মুখ পরিষ্কার থাকে।
ফ্লসিং জরুরি: ব্রাশ দিয়ে দাঁতের যে অংশে পৌঁছানো যায় না ফ্লসিং সেই জায়গাগুলো পরিষ্কার করে। প্রতিদিন রাতে ব্রাশ করার পর ফ্লস ব্যবহার করলে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা এবং প্লাক পুরোপুরি পরিষ্কার হয়।
লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি: প্রতিদিন একবার গরম লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কমে যায় এবং মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত দাঁতের যত্ন না নিলে এটি হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই শুধু মুখের স্বাস্থ্য নয় বরং সুস্থ জীবনযাপন করতে হলে বেসিক ওরাল হাইজিন মেনে চলা অত্যাবশ্যক।
Comments