
বিডিআর বিদ্রোহ, শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং ২৪ জুলাইয়ের গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ‘জনতার আদালতে’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘জাগ্রত জুলাই’ ও ‘জুলাই ঐক্য' এই প্রতিবাদটির আয়োজন করে।
সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি এবং জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের ও সাংবাদিক ইসরাফিল ফরাজী। এ সময় ‘জাগ্রত জুলাই’ ও ‘জুলাই ঐক্য’ এর অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতীকী রায় ঘোষণা করেন জাগ্রত জুলাইয়ের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানজিনা ফেরদাউস। প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চে স্বাস্থ্য পরীক্ষার (প্রেশার ও হার্টবিট) দায়িত্ব পালন করেন রায়হান মাদ্রাজী, এবং জল্লাদের ভূমিকায় ছিলেন আলিফ জাওফি। পুরো মঞ্চায়নটির নির্দেশনা দিয়েছেন আজিজ সাইফুল্লাহ, আর সভাপতিত্ব করেন জাগ্রত জুলাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কবি মুন্সি বোরহান মাহমুদ।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, এটি একটি প্রতীকী প্রতিবাদ হলেও তারা চান যে এর বিচার যেন বাস্তব রূপ পায়। বক্তারা আরও বলেন যে, বাংলাদেশের আইনি প্রক্রিয়া যেহেতু ধীর ও জটিল, তাই তারা প্রত্যাশা করেন যে আগামী এক বছরের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২০২৬ সালের ৩৬ জুলাই অর্থাৎ গণঅভ্যুত্থানের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে শেখ হাসিনাসহ সকল দায়ীদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
Comments