Image description

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গত বছরের ৪ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ শীর্ষক শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণ এবং নিরীহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে ৩৯ জন শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল এবং ১০ জনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২৮তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শাস্তির আওতায় রয়েছেন ৫৭ জন শিক্ষক, ২৪ জন কর্মকর্তা, ২১ জন কর্মচারী এবং ৩১ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের মধ্যে ৬ জনকে বরখাস্ত, ১২ জনকে অপসারণ, ৮ জনকে নিম্ন পদে অবনমন এবং ৩১ জনকে তিরস্কার করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জনকে বরখাস্ত, ৮ জনকে অপসারণ, ৭ জনকে তিরস্কার এবং ১ জনকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কর্মচারীদের মধ্যে ২ জনকে বরখাস্ত এবং ১৯ জনকে তিরস্কার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ৭ জনকে আজীবন বহিষ্কার এবং ২৪ জনের সনদ বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া, ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আশরাফুল হক হলে ছাত্রদল ও শিবির ট্যাগ দিয়ে চারজন শিক্ষার্থীর ওপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন শিক্ষার্থীর (১৫ জনের সনদ বাতিল, ৩ জনের আজীবন বহিষ্কার), ২ জন শিক্ষকের (একজনের নিম্ন পদে অবনমন, অপরজনের পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত) এবং ১ জন কর্মকর্তার চাকরি থেকে অপসারণের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৮ মে’র সিন্ডিকেট সভায় শাস্তির সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে, যা পরবর্তী সভায় সমর্থিত হয়। তিনজন শিক্ষক তদন্ত কমিটির বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন, যা গতকাল খারিজ হয়েছে। আজ থেকে শাস্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।”