Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে নীলা ইস্রাফিলের পদত্যাগ ঘিরে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দলটির নীতিহীনতা ও নেতার অপরাধের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তাকে ‘অপরিচিত’ বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে নীলা প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘এতদিন আমাকে কীসের ভিত্তিতে ব্যবহার করেছেন?’ দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেনের দাবি, নীলা এনসিপির কেউ নন, শুধু নাগরিক কমিটিতে ছিলেন। 

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে নীলা লেখেন, আজ যখন আপনাদের নেতার অপরাধ, অনাচার, এবং লিপ্সার বিরুদ্ধে আমি মুখ খুলেছি, তখন আমি আপনাদের কেউ না? এতদিন আমার কণ্ঠ, আমার পরিচয়, আমার ত্যাগ আপনাদের পক্ষে ছিল তখন তো কোনো সমস্যা ছিল না আপনারা কি দল করেন, না কেবল ক্ষমতা আর নারীকে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলার একটা কারখানা চালান?’

নীলা ইস্রাফিল আরো বলেন, ‘আপনাদের অপরাধ ঢাকার জন্য আজ আমাকেই অস্বীকার করছেন? সত্য বললেই কি নারীকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়? এটাই কি আপনাদের নৈতিকতা? এই প্রশ্ন আজ শুধু আমার না এই প্রশ্ন প্রতিটি নারীর, যাকে আপনারা দলীয় পরিচয়ে ব্যবহার করেছেন, আর পরে ‘অপরিচিত’ বানিয়েছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি আজ আমাকে অস্বীকার করছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় আপনারা কি আমাকে সত্যিই কখনো অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, নাকি কেবল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতেন?’

তিনি বলেন, “আমার কণ্ঠ যখন আপনাদের পক্ষে ছিল, তখন তো ‘আমাদের নেত্রী’, ‘আমাদের শক্তি’ বলে গলা ফাটাতেন।

এখন যখন আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি, তখন ‘সে তো আমাদের কেউ না’? এটা কি কোনো রাজনৈতিক দলের মূল্যবোধ? নাকি এটি প্রমাণ করে, দল নয়, আপনারা ব্যক্তি রক্ষায় ব্যস্ত? জনগণ দেখছে, বুঝছে এবং প্রশ্ন করছে এই দল কি আদৌ জনগণের ন্যায় ও নৈতিকতার প্রতিনিধিত্ব করে?”

নীলা বলেন, ‘আমি অবাক হই না যে আজ জাতীয় নাগরিক পার্টি আমাকে অস্বীকার করছে। কারণ সত্য বললেই অনেক সময় আপনজনই মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু আমি একটিই প্রশ্ন করতে চাই যদি আমি আপনাদের কেউ না হয়ে থাকি, তাহলে আমার কণ্ঠ, আমার পরিচয়, আমার মাঠের উপস্থিতি এতদিন আপনারা কেন ব্যবহার করেছেন? একজন নারী যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তখনই তাকে দলহীন, আশ্রয়হীন প্রমাণ করতে পারাটাই কি রাজনীতির নতুন রীতি? আমি কারো পরিচয়ে নই, আমি আমার ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো একজন মানুষ। আমাকে অস্বীকার করে সত্যকে অস্বীকার করা যাবে না।