
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বন্ধুর বাড়ি থেকে মো. রিয়াদ মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে পুলিশ নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে বাড়ির বাসিন্দারা পলাতক।
নিহত মো. রিয়াদ মিয়ার বাড়ি উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের পোঁড়াবাড়িয়া গ্রামে। একই ইউনিয়নের গারুয়া গ্রামে বন্ধু নাদিমের বসতঘর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পোঁড়াবাড়িয়া গ্রামের হানিফ মিয়ার একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরি হয়। সেটি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হানিফের লোকজন রিয়াদকে আটক করে। তারপর আচারগাঁও বিলপাড়ায় একটি সালিস হয়। সালিসে রিয়াদ অটোরিকশা চুরির কথা স্বীকার করেন এবং এই চুরির সঙ্গে নাদিম মিয়াও জড়িত ছিলেন বলে জানান। পরে নাদিমকেও সালিসে উপস্থিত করা হলে তিনিও অটোরিকশা চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাদিমের মা ময়না বেগম সালিসস্থলে গিয়ে অটোরিকশার টাকা ফেরত দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে রিয়াদ ও নাদিমকে মুক্ত করে নিয়ে যান। ওই দিন রাতে রিয়াদ বন্ধু নাদিমের বাড়িতে থেকে যান। আজ বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা নাদিমদের বাড়িতে মানুষের সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে গিয়ে রিয়াদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পান। পরে নান্দাইল মডেল থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
রিয়াদের বাবা আবদুল লতিফ বলেন, তাঁর ছেলে ও নাদিম বন্ধু ছিল। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করত। ছেলের অটোরিকশা চুরির বিষয় তিনি জানতেন না।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, রিয়াদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের শরীরে পাঁচ–ছয়টি আঘাতের চিহ্ন আছে। ঘটনার পর রিয়াদের বন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
Comments