Image description

রাজধানীতে রাতভর অন্তত ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার পরও ঢাকার বায়ুর মানের উন্নতি হয়নি। সাধারণত বৃষ্টি বায়ুকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করলেও, সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আজ বায়ুদূষণে শীর্ষ স্থানে আছে উগান্ডার কাম্পালা, স্কোর ১৮১। দ্বিতীয় স্থানে আছে বাহরাইনের মানামা, ১৭৯।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

বর্ষাকালে সাধারণত বায়ুদূষণ কম থাকে মূলত বৃষ্টির কারণে। মোটামুটি মে মাসের শেষ থেকেই কমে আসতে থাকে দূষণ। কারণ, এ সময় থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। প্রাকৃতিক এ ঘটনা ছাড়া দূষণ রোধে আর কোনো ব্যবস্থাই আসলে নেই। সরকারি নানা উদ্যোগ তো ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। বৃষ্টি হলে নগরীর দূষণ কমে কয়েক দিন, তারপর আবার বাড়ে। জুলাই সবচেয়ে কম দূষণের মাস। তারপরও আজ দূষণ পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত খারাপ।

রাজধানীর বেশি দূষিত এলাকাগুলোর মধ্যে আছে পীরেরবাগ রেললাইন, স্কোর ১৬৫, মহাখালীর আইসিডিডিআরবিতে স্কোর ১৬০।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ছয় গুণের বেশি।