Image description

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটক বৃহস্পতিবার সকালেও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফটকের সামনে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেউ নিখোঁজ থাকলে স্বজনেরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে স্কুলের ভেতরে যেতে পারবেন। অযথা ভিড় না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিন বেলা ১১টার দিকে স্কুলের ফটকে এসে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস কে সোলায়মান জানান, পরিচয়পত্র দেখালে ও নিখোঁজ স্বজনের খোঁজ করলে তাদের ভেতরে যেতে দেওয়া হবে। স্কুলের ৫ নম্বর ভবনের নিচতলায় একটি হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে, যেখান থেকে তথ্য প্রদান করা হবে। সেখানে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস কে সোলায়মান আরও বলেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উত্তরা শাখার কার্যক্রম কবে চালু হবে, সে ব্যাপারে আজ বা আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে জানাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

গত সোমবার বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দিনভর উৎসুক মানুষের ভিড় লেগে রয়েছে। গতকাল বুধবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গতকাল ও আজ কমবেশি সবাই মুঠোফোনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছবি তুলেছেন, ভিডিও করেছেন। উৎসুক লোকজনকে স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। গণমাধ্যমকর্মীদের জন্যও স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে ছিল অলিখিত নিষেধাজ্ঞা। শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়।

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা সোয়া সাতটা পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। যদিও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। এরপর ওই দিন রাতে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। যে কারণে গণমাধ্যমে নিহত মানুষের সংখ্যা ৩২ উল্লেখ করা হয়েছিল। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩২ জন। এর বেশির ভাগই শিশু।