Image description

থানার ভেতর থেকে পুলিশের ব্যবহৃত সরকারি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুই মাস পর পুলিশ সেটি উদ্ধার করার পর জানতে পারে, চুরিতে জড়িত রয়েছেন বাবা ছেলে। গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় বাবা মুসলিম মিয়াকে (৪৮)। ছেলে মিনহাজ উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।

থানার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গত ১২ মে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভেতর থেকে থানার এসআইদের ব্যবহৃত সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া একটি পালসার ১৫০ সিসির মোটরসাইকেল নিয়ে যায় চোর চক্র। এ ঘটনায় পরদিন থানায় মামলা করে পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই সুমন বড়ুয়া। তিনি বলেন, থানা থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার ও চোর চক্রকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়। 

একপর্যায়ে জানা যায়, চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি বিক্রি করছেন মুসলিম মিয়া নামের এক ব্যক্তি। পরে ক্রেতা সেজে তাঁর কাছে গেলে অন্য ব্যক্তি আসেন। একপর্যায়ে মুসলিম মিয়াকে পাওয়া যায়। পুলিশের সঙ্গে অভিযানে র‌্যাবের সদস্যরাও ছিলেন। মুসলিম মিয়াকে থানায় আনার পর তিনি স্বীকার করতে রাজি হননি, এটি থানা থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল।

সুমন বড়ুয়া আরও বলেন, থানার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখানোর পর মুসলিম মিয়া স্বীকার করেন যে থানা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যুবক তাঁর ছেলে মিনহাজ উদ্দিন; সঙ্গে ছিলেন ছেলের বন্ধু মো. রিফাত। পরে মুসলিম মিয়ার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার হিলভিউ আবাসিক এলাকা থেকে চুরি হওয়া পালসার মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, তাঁর ছেলে মোটরসাইকেল চুরি করে আর তিনি বিক্রি করেন।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।