
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা ইমামুর রশিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ‘জি নাইন’ প্ল্যাটফরমের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত এক টকশোতে এনসিপির এই কার্যকলাপকে ‘ছোট ভাইয়েরা বড় ভাই হয়ে গেছে’ বলে কটাক্ষ করেছেন। ইমামুর রশিদ নিজে টাকা গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করলেও দাবি করেছেন, এটি স্বেচ্ছায় দলের তহবিলে দেওয়া ‘ডোনেশন’। এই ঘটনা এনসিপির স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ডোনেশন দেওয়ার জন্য তিনি তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এসে আহ্বায়ক এবং দুই অঞ্চলের মুখ্য সংগঠকদের সঙ্গে দেখা করেন। তার মানে সারজিসের যে কথা এলো, সেটা জাস্টিফাইড হয়। কারণ এই এনসিপি নেতাই বলেছেন যে ওই ভদ্রমহিলা সারজিস, হাসনাত এবং আহ্বায়ক নাহিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এটা কিন্তু তাদের নেতার ফেসবুক স্ট্যাটাস।
তার কথা পত্রিকায় ইতিমধ্যে রিপোর্ট হিসেবে এসেছে যে ওই মহিলা ৪৮ লাখ টাকা দিয়েছেন। আর বলছে, টাকার পরিমাণ টোটাল এত হবে না। তার মানে- একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বলে পরিচয় দেওয়া হচ্ছে ভদ্রমহিলাকে। তার থেকে এত টাকা নিচ্ছে।
এটা যদি স্বচ্ছ হয়, তাহলে তো এটার রিসিভ কপি থাকার কথা। এটা যেহেতু পার্টি ফান্ডে জমা হবে, এই টাকাটা তারা কি পার্টি ফান্ডে চেক আকারে জমা করেছে বা এ রকম ক্যাশ টাকা কি কেউ দেয়? পার্টিকে যদি কেউ ডোনেট করে এবং সেটা যদি বৈধ টাকা হয়, কালো টাকা না হয় এবং পার্টি যদি সেটা স্বচ্ছভাবে খরচ করে, এটা যদি চাঁদাবাজি না হয়; তাহলে সেটা তো চেক আকারে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। এভাবে ক্যাশ টাকা লেনদেনে কি কালো টাকা না হলে, বৈধ পথে হলে, স্বচ্ছ রাজনীতি হলে ঢোকে?
সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত বলেন, ‘আমাদের এনসিপির ছোট ভাইয়েরাও এখন ‘বড় ভাই’ হয়ে গেছে। এখন স্ক্রিনশট পড়ার পরে মনে হচ্ছে, ওই যে এনসিপির যে নেতা টাকা নিতে গেছে, সে বলছে যে বড় ভাই বলছিল ১০ লাখ বা বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখন এনসিপির যারা, এরা তো তরুণ, আমাদের ছোট ভাই, খুব মায়া করি, সেই ছোট ভাইয়েরাও দেখি এখন চাঁদাবাজির বড় ভাই হয়ে গেছে। এটা তো থামাতে হবে।’
Comments